AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এমপক্স রোগী শনাক্তের জন্য ল্যাব প্রস্তুত রেখেছে আইইডিসিআর


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:০০ এএম, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
এমপক্স রোগী শনাক্তের জন্য ল্যাব প্রস্তুত রেখেছে আইইডিসিআর

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। করোনা মহামারির পর বর্তমানে আরেক উদ্বেগের নাম এখন এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)। প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াচ্ছে। এমপক্স ভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকায় দুটি ও চট্টগ্রামে একটি হাসপাতাল ঠিক করা হয়েছে।

এমপক্স রোগী শনাক্তের জন্য ল্যাব প্রস্তুত রেখেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স নিয়ে এখনই দেশে শঙ্কা নেই, অবশ্য উদ্বেগ রয়েছে।

আফ্রিকার কঙ্গোতে এমপক্স আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ছড়িয়েছে আশপাশের কয়েকটি দেশে, শনাক্ত হয়েছে সুইডেন ও পাকিস্তানেও।

এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে কেউ শনাক্ত না হলেও ল্যাব প্রস্তুত রেখেছে আইইডিসিআর। চিকিৎসার জন্য ঠিক করা হয়েছে ঢাকার কুর্মিটোলা ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি হাসপাতাল।

এ বিষয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এমপক্স সুইডেনে ও পাকিস্তানে শনাক্ত হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত তেমন অ্যালার্মিং অবস্থায় বাংলাদেশ নেই তারপরও আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জ্বর, মাথাব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি এমপক্সের লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে, এমনকি নিঃশ্বাস থেকেও অন্যজন সংক্রমিত হতে পারে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, যদি কেউ দেশের বাইরে থেকে বা আক্রান্ত দেশ থেকে আসেন এবং তার শরীরে যদি এ লক্ষণগুলো দেখা যায় সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মোশতাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যদি কোনো এমপক্স রোগী পাওয়া যায়, তাহলে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেই রোগীর সংস্পর্শে আসতে পারেন এমন স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। আসলে জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার কারণ হলো দেশে দেশে এই পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক নিশ্চিত করা।

২০২২ সালের জুলাই মাসে এমপক্স ভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই বছর বাংলাদেশে আটজনকে সন্দেহ করা হলেও পরীক্ষায় শনাক্ত হয়নি।

 

একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস

Link copied!