AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যেভাবে গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকবেন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:২২ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
যেভাবে গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকবেন

গর্ভবতী মায়ের শরীরে চলে হরমোনের পরিবর্তন। নারীর জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি। এই সময় নারীর মধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটে। একজন নারীর গর্ভধারণে পূর্বে, গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়গুলোতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এতে গর্ভবতী মা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে মায়ের পাশাপাশি শিশুরও ক্ষতি হতে পারে।


চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের মতে, গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এ সময়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যাভ্যাস, বিশ্রাম ও ঘুম, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান, ফুড সাপ্লিমেন্ট, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা।

 

গর্ভাবস্থায় একজন নারী সুস্থ থাকা জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন, সেগুলো হলো:


. গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন আমিষ, জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ইযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

. প্রতিদিন কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগাতে হবে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে।

. মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম ও ডালজাতীয় খাবার খেতে হবে। মাছ, লাল মাংস, দুধ থেকে পাওয়া যাবে জিংক। দুধ আর কলিজায় পাওয়া যাবে সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ। সবুজ শাক, ডিম, মাংস, দুধ, বাদাম থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন ই।

. এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে হোল-গ্রেইন বা দানাদার শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে।

. ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শরীরকে প্রসবের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।

৬. এ সময় মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখতে হবে।  তা না হলে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

. এ সময় ফলমূল-শাকসবজি খেতে হবে। শাকের মধ্যে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচাবে। ফলমূল অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।

৮. আমিষজাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটবে।

. নিয়মিত ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে হবে। কম ঘুম হলে তা শরীরের অসুস্থতাকে আরও বেশি অসংবেদনশীল করে তুলবে।

১০. পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যাবে। কম পানি পান করলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

 

একুশে সংবাদ//ই.পে//র.ন

Link copied!