দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণে সানজিদা আক্তার নামের এক নারী মারা গেছেন। তার বয়স ছিল ৩০ বছর এবং তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বাসিন্দা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক রোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটি প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১২ জানুয়ারি সানজিদা আক্তারের হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণের খবর জানা যায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তার বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। যদিও তার স্বামী প্রবাসে থাকেন, তিনি সম্প্রতি দেশে ফেরেননি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম ২০১৭ সালে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই এ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়ে আসছে।
এ ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলা হলেও পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সতর্কতাও জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :