গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকায় আরও শক্তিশালী ফোরজি নেটওয়ার্ক এবং ফাইভজি’র প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর লেকশোর হোটেল গুলশানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. হাবিবুর রহমান, এক্সপানশন অব টেলিটক নেটওয়ার্ক আপটু রুরাল এরিয়াস অ্যান্ড নেটওয়ার্ক রেডিনেস ফর ফাইভজি সার্ভিসেস প্রজেক্ট টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল হাসান, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) এবং হুয়াওয়ের টেলিটক অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর গুয়ো ইউ-সহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্প দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফোরজি কাভারেজ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। টেলিটকের নতুন ফোরজি সাইট চালুর পাশাপাশি কোর নেটওয়ার্ক, আইপি নেটওয়ার্ক, চার্জিং ও বিলিং সিস্টেম ও স্যলুশন আধুনিকায়ন ও বিস্তৃতিতে কাজ করবে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) বলেন, ‘বাংলাদেশের রূপান্তরে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি মূল ভূমিকা পালন করবে। আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রেখে যেতে চাই। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই আমরা আমাদের অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের একটি দায়িত্ববান সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভজি চালু করতে আমরা টেলিটককে সহযোগিতা করেছি। এটি এক অনন্য অর্জন। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, এই চুক্তি বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।’
অনুষ্ঠানে টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের নেটওয়ার্ককে আধুনিক করতে চাই যাতে দেশব্যাপী সবাই আরও উন্নত নেটওয়ার্ক, ও উচ্চ-গতির সংযোগ উপভোগ করতে পারে। পাশাপাশি আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে আমাদের গ্রাহকদের উন্নত টেলিযোগাযোগ পরিষেবা দিতে চাই। টেলিটকের এই লক্ষ্য পূরণের জন্য যে চমৎকার প্রযুক্তি, সমাধান এবং লোকবল দরকার হুয়াওয়ের সেগুলো রয়েছে। তাই, আমরা অনেক আশাবাদী। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি প্রকল্পটি শেষ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ কাজ করছে হুয়াওয়ে এবং ২০০৪ সাল থেকে নতুন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে টেলিটককে সেবা প্রদান করে আসছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে, টেলিটক এর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়েকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা উন্মোচন করে।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :