টেলিটক এবং বাংলালিংক দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল চালু করেছে। এ ব্যবস্থায় টেলিটক ও বাংলালিংকের গ্রাহকরা কোনো জায়গায় তাদের ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক দুর্বল বা অনুপস্থিত থাকলে, সেখানে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সেবার সুযোগ পাবেন।
বুধবার সীমিত পর্যায়ের ফিল্ড ট্রায়াল উদ্বোধন হয়। আপতত পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার সচিবালয়ে এই ফিল্ড ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন।
প্রথম পর্যায়ে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পোস্ট-পেইড ভয়েস এবং এসএমএস সেবা পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রিপেইড সেবা ও ডেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ফিল্ড ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে সেবাটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। এর ফলে উভয় অপারেটরের গ্রাহকদের ভালো নেটওয়ার্ক কাভারেজের সুবিধা ভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্যসহ ২২টি দেশে এমন সেবা চালু আছে।
উদ্বোধনকালে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এটি উভয় অপারেটরের জন্যই ইতিবাচক, কারণ এর মাধ্যমে তারা একে অপরের অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষ করে টেলিটক সারা দেশে বাংলালিংকের ১৫ হাজারও বেশি সাইট ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তারা সবসময় টেলিকম খাতে অভ্যন্তরীণ সহযোগিতাকে উৎসাহিত এবং সমর্থন করে। ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল এই ধরনের সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, ফিল্ড ট্রায়াল শেষে বাণিজ্যিকভাবে রোমিং চালু করা হলে তা উভয় অপারেটরের গ্রাহকদের উন্নত নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করবে।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের আগে ন্যাশনাল রোমিং চালু হওয়ায় যুদ্ধের ভয়াবহতার সময় তা গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সচল রাখার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে।’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এই ধরনের প্রথম উদ্যোগ সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।’’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :