ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তাকেই সবার আগে বিবেচনা করছে বিশ্বের জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। নিরাপত্তার পরিবর্তনশীল চাহিদাগুলোর সাথে তালমিলিয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগী হয়েছে তারা। আর এরই ফলশ্রুতিতে সিম কার্ড বাইন্ডিং, পাসকিজ, ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলসের মতো নিরাপদ ও আধুনিক ফিচার নিয়ে এসেছে প্ল্যাটফর্মটি।
অ্যাপ ব্যবহারকারীর জন্য আরও বেশি নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ২০২৩ সাল জুড়েই নানা ফিচার নিয়ে আসা হয়েছে। সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর একাউন্ট একটি নির্দিষ্ট সিম কার্ড ও ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ফলে অযাচিত হ্যাকিং খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যাবে। ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস ফিচারের মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারী কথা বলার সময় স্ক্রিনশট নেয়ার নিরাপত্তাহীনতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। টাইম মেশিন ফিচার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট চ্যাট হিস্ট্রি ডিলিট করতে পারবেন; ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ফিচারের মাধ্যমে অপরিচিত মানুষ থেকে নিরাপদ থাকার সুযোগ পাবেন। গ্লোবাল ওয়েব কল ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী এখন আরও বেশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। এই ফিচারের মাধ্যমে এখন আলাদা লিঙ্ক তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারী, যা অন্যদের সাথে শেয়ার করে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে পারবেন।ফলে নিজের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার ও তথ্য অন্য কাউকে না জানিয়েও প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
শুধুমাত্র সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করাই নয়, ব্যবহারকারীর জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতেও নানারকম ফিচার নিয়ে আসা হয়েছে। জিরো নয়েজ ফিচারের মাধ্যমে এখন একদম কোলাহলপূর্ণ জায়গাতেও পরিস্কারভাবে কথা বলা সম্ভব হবে। লাইট ফিচারের মাধ্যমে নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারী। স্মার্ট ৩৩৩ ফিচারের মাধ্যমে এখন বিদেশের মাটিতে বসেও দেশের সরকারি সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ওমরাহ গাইড ফিচারের মাধ্যমে ওমরাহের একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাবেন।
এসব নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যবসাবান্ধব প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এবছর প্রায় ১৭ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা নিজেদের ব্যবসার বিকাশে অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন।একইসাথে, কেএফসি, পিৎজা হাট, উপায়, বিক্রয়, সেবা, ওয়াকার ফুটওয়্যার, ডেইলি শপিং, গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথের মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ড সহ লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছে। এতে করে প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়ে আসা আধুনিক এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত হ্যাকিং প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এই ফিচারগুলোর কারণে হ্যাকিংয়ের ঘটনা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে, গুগলের সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে অ্যাপটি।
বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও বেশি সমৃদ্ধ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জানুয়ারিতে ২কে এইচডি ভিডিও কল ফিচার নিয়ে আসা হচ্ছে। পাশাপাশি, বৈশ্বিকভাবে উদযাপিত ‘দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডস (টিজিএ) ২০২৩’ এর অংশীদার হিসেবে অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচার করে অ্যাপটি। বর্তমানের ক্রমশ পরিবর্তনশীল বিশ্বে সাইবারসিকিউরিটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ঝামেলাহীনভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এখন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকেই সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :