সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেনস ফান্ড (ইউনিসেফ) এর সহযোগিতায় জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট যুব নেতৃত্ব এবং দক্ষতা বিকাশের জন্য ‘পাসপোর্ট টু আর্নিং ইন্ট্রোডাকশন সেমিনার’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণ করে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে আসা ৪১৫ জনেরও বেশি তরুণ। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কিল বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা স্কিল প্রশিক্ষণ এবং তা উন্নয়ন আর প্রয়োগ সম্পর্কে অভিজ্ঞ।
জাগো ফাউন্ডেশনের ‘ওয়েলকামিং P2E (পাসপোর্ট টু আর্নিং)’ সেশনের মধ্য দিয়ে সেমিনারটি শুরু হয়। যেখানে ভবিষ্যতে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট কিছু স্কিল সম্পর্কে জানানো হয়। পাসপোর্ট টু আর্নিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের জেনারেশন আনলিমিটেড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারিয়ান ওহলার্স।
P2E একটি ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম যা তরুণদের কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সব কোর্স দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। P2E প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে দেওয়া কোর্সগুলো সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের জানানো হয় এই অধিবেশনে। বিশেষজ্ঞরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সটি ব্যাখ্যা করেন তরুণদের কাছে। পরবর্তীতে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে জাগো ফাউন্ডেশনের মডারেটর এবং ফ্যাসিলিটেটররা কথা বলেন অংশগ্রহণকারীদের সাথে।
জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ বলেন, “ট্যানজিবেল স্কিলে পারদর্শীতা তরুণদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার সাথে সাথে বাংলাদেশের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। কমিউনিকেশন, কোলাবোরেশন এবং সমস্যা-সমাধানের স্কিলগুলো কেবল দক্ষ কর্মী নয়, পাশাপাশি একজন যোগ্য প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তরুণদের গড়ে তুলতে পারে। এই বিনিয়োগ তরুণদের ক্ষমতায়নের মূল ভিত্তি, যেখানে তরুণরা নেতৃত্ব এবং তাদের অবদান রাখার মধ্য দিয়ে একটি উজ্জ্বল বাংলাদেশ গঠন করতে পারে।”
ইউনিসেফের জেনারেশন আনলিমিটেড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারিয়ান ওহলার্স বলেন, "তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য কর্মসংস্থানযোগ্য দক্ষতার খাতে বিনিয়োগ করা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎয়ের জন্য জরুরি। আজকের দিনটি বিশেষ দিন কারণ আমরা এখানে যুব ক্ষমতায়ন সম্মেলনে সারা দেশের ৪০০ জন তরুণদের সঙ্গে পাসপোর্ট টু আর্নিং (P2E)-এর কার্যক্রম সূচনা করছি। P2E হল কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা এবং সামাজিক কাজ করার জন্য একটি নতুন ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশের তরুণ এবং নিয়োগকারীদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। তরুণদের জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ শেখাতে প্ল্যাটফর্মটি বিনামূল্যে নিয়োগকারীদের দ্বারা প্রত্যয়িত কোর্স সরবরাহ করে। জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ এবং অন্যান্য সরকারী, বেসরকারী ও তরুণদের সাথে একত্রে আগামী তিন বছরে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছাতে চাই যেখানে আমাদের লক্ষ্য হলো কমপক্ষে ৩,৫০,০০০ তরুণদের এমন সুযোগে যুক্ত করা।”
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :