সমকামী বিয়েতে আইনি বৈধতার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এলজিবিটি যুগলদের করা আবেদনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে সমকামী বিয়ের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।
রোববার (১২ মার্চ) দেশটির সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা এক পিটিশনে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা সমকামী বিয়ের বিরুদ্ধে এবং একই সঙ্গে সরকার আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে যেন, সমকামী বিয়ে বৈধ করার পক্ষে এলজিবিটি যুগলদের পক্ষ থেকে যেসব আবেদন করা হয়েছে সেগুলো যেন খারিজ করে দেয়া হয়।
বর্তমান আইনি কাঠামোতে ভারতে সমকামী বিয়ে নিষিদ্ধ। সম্প্রতি এই আইনি অবস্থান চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে রিট করেছেন এলজিবিটি যুগলেরা।
আদালতে জমা দেয়া পিটিশনে ভারতের আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা বিশ্বাস করি ভারতীয় সমাজে নানা ধরনের সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের মধ্যকার সম্পর্কের স্বীকৃতি দেয়া হয় বিয়ের মাধ্যমে এবং রাষ্ট্রের এই অবস্থা বজায় রাখার পক্ষে যুক্তিসঙ্গত এবং বৈধ স্বার্থ রয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় যুক্তি দেখিয়েছে, ‘ভারতীয় সমাজের পরিবার, স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানের যে ধারণা তার সঙ্গে সমকামী মানুষদের একসঙ্গে থাকা এবং যৌন সম্পর্কের যে ধারণা তার সঙ্গে তুলনীয়ই নয়।’ এ অবস্থায় ভারতীয় সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে পুরো আইনগত নীতিমালা বদলে ফেলার জন্য কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে না।’
তবে এলজিটিবি-গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আদালতে আবেদনকারী উদয় রাজ আনন্দ বলেছেন, ‘আবেদনকারী হিসেবে আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয় না যে, বেশিরভাগ ভারতীয় কিছু মানুষের একটি প্রেমময় পরিবার পাওয়ার আইনি অধিকার লাভের চিন্তায় আহত বোধ করেন।’
এর আগে, ২০১৮ সালের এক রায়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামীতা কোনো অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল। সে সময় আদালত সমকামীতাকে নিষিদ্ধ করে করা একটি ব্রিটিশ আমলের আইনকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছিল।
১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে সমকামীতা এখন আর অপরাধ না হলেও সমাজে এখনো বিষয়টি ট্যাবু এবং মানুষ এটা নিয়ে কথা বলতে চায় না।
একুশে সংবাদ/আ.বা/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :