AB Bank
ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় জরিমানা


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪:৪১ পিএম, ২ এপ্রিল, ২০২৩
মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় জরিমানা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

শনিবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিদিন কয়েকশো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার মধ্যে প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় থাকে। তিনি নিজে যদি পড়াশোনা না জানেন তাহলে কর্মকর্তারা যা খুশি বুঝিয়ে দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারে।

 

এই প্রশ্ন তুলে কেজরিওয়ালের দল একটা পোস্টার প্রচারণাও শুরু করেছে দিল্লিতে। নীল কাগজের ওপরে সাদা অক্ষরে ছাপা ওই পোস্টারে লেখে হয়েছে ভারতের কি পড়াশোনা জানা প্রধানমন্ত্রী দরকার?

 

আম আদমি পার্টি ওই পোস্টার দিল্লির নানা জায়গায় লাগিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রির বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন।

 

শনিবার কেজরিওয়াল আবারও সেই একই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা ভিডিও আমরা দেখেছি, যেখানে মোদি বলেন যে তিনি পড়াশোনা জানেন না, গ্রামের স্কুলে যেতেন, তারপরে আর পড়াশোনা করেননি।‘

 

নরেন্দ্র মোদির ঠিক কোন ভিডিওর কথা কেজরিওয়াল বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ২৯ সেকেন্ডের একটা ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বছর দুয়েক আগে।

 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও ক্লিপে মোদিকে বলতে শোনা গেছে, তিনি ১৭ বছর বয়সে ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন, স্কুলের পড়া শেষ করেই।

 

নরেন্দ্র মোদি যখন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দিল্লিতে থাকতেন, তখনই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।

 

সেখানে “স্কুলের পড়া শেষ করেই...” এই শব্দবন্ধের অব্যবহিত পরই মি. মোদি উল্লেখ করেছিলেন "অনেক পরে, সঙ্ঘের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ) কয়েকজনের উৎসাহে তিনি আবারও আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করেন এবং ‘এক্সটার্নাল ক্যান্ডিডেট’ হিসাবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন, আর কলেজের দরজাও তিনি দেখেননি"।

 

এই অংশটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ২৯ সেকেন্ডের ক্লিপ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে মনে হচ্ছে যে তিনি স্কুলের পরে আর পড়াশোনা করেননি।

 

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখতে চাওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সম্মেলন করে মোদির ডিগ্রির প্রতিলিপি প্রকাশ করেছিলেন। তবে সেই ডিগ্রিও জাল বলে তখনই অভিযোগ করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।

 

নরেন্দ্র মোদির এক পারিবারিক বন্ধু আহমেদাবাদের সিনিয়র সাংবাদিক সতীশ মোরি। তিনি বলেন, “আমি যা জানি, প্রধানমন্ত্রী পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে ডিগ্রি পেয়েছেন।“

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

একুশে সংবাদ.কম/চ.ট.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!