গতকাল সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। তার ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস তার টুইটে এই উদ্বেগের কথা জানান।
গুয়েন লিখেন, ‘সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।’
এদিকে সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়।
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি বলবো যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং সহিংসতার জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।’
হামলার পর হিরো আলম এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বয়কট করে জানিয়েছিলেন তিনি হামলার বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে চিঠি দেবেন। এরপরই জাতিসংঘের এই উদ্বেগের ঘটনা ঘটলো।
প্রসঙ্গত, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমডির) জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ‘বিকেলে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমের ওপর হামলার পরপর ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের সদস্যরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।’
উল্লেখ্য, সারাদিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। বিকেল ৩টা পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক তার ওপর হামলা চালায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছে, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোপুরি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটে এবং এতে কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তর করে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :