পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত। আজ মঙ্গলবার সেই দণ্ড স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এছাড়া এই মামলায় তাকে জামিনও দেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সেই দণ্ড স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এছাড়া এই মামলায় তাকে জামিনও দেন আদালত।
তবে পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ইমরান খান এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। বর্তমানে পাঞ্জাবের অ্যাটোক কারাগারে বন্দি আছেন তিনি।
ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত সরকারি গোপন নথি আইন বিশেষ আদালত— অ্যাটোক কারাগারে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ইমরানকে কারাগারেই আটক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ৩০ আগস্ট গোপন তারবার্তা প্রকাশ (সাইফার মামলা) মামলায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে।
ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন সেই চিঠি প্রকাশ করেছে। এতে অ্যাটোক কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ‘অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, পিতা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা জামান পার্ক লাহোর— তাকে বিচারিক রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো, যিনি ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলে আটক আছেন।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি আমীর ফারুক ও বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গীরির সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ইমরান খানের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে এই বহুল প্রত্যাশিত আদেশ ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জতা এক্স বার্তায় (সাবেক টুইটার) বলেন, প্রধান বিচারপতি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এ বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি ওই পোস্টে জানান।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :