কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইরানজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। আমিনির বাবাকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশ্য বেশ কয়েক জন ‘প্রতিবিপ্লবী’ ও ‘সন্ত্রাসীকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
আমিনির বাবাকে গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, আমিনির মৃত্যুবার্ষিকীর দিন পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ছেড়ে কবরে যাওয়ার ‘অধিকার নেই’ এবং তাদের বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা যাবে না। আইচি কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে তারা একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে চায়।
কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক বলেছে যে নিরাপত্তা বাহিনী আমজাদ আমিনিকে সাময়িকভাবে আটক করার পরে এবং তার মেয়ের মৃত্যুর বার্ষিকী পালনের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আমিনির বাবা সর্বদা দাবি করেছেন যে তার মেয়ে পুলিশ ডিটেনশন সেন্টারে অফিসারদের আঘাতে মারা গেছে। সরকার সেকথা অস্বীকার করে জোর দিয়ে বলেছে যে আমিনি তার শরীরে পূর্ব বিদ্যমান স্নায়বিক জটিলতার কারণে মারা গেছেন। ইরানের ইতেমাদ দৈনিক আগস্টে জানিয়েছে যে আমিনির পরিবারের আইনজীবী ‘শাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের’ অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে সালেহ নিকবখতকে এক থেকে তিন বছরের জেলে যেতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে আমিনির গল্প তার নির্মম মৃত্যুর সাথে শেষ হয়নি। বরং তিনি একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইরান বলেছে, ‘বৈষম্যমূলক বাধ্যতামূলক হিজাব আইন বাতিল করার পরিবর্তে, ইরানি কর্তৃপক্ষ নারীদের অধিকারের উপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে। বেআইনিভাবে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।’
সূত্র : দা গার্ডিয়ান
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :