জন্মহার কমে যাওয়ায় গত কয়েক দশক ধরে চলা এক সন্তান নীতি থেকে ২০১৫ সালে সরে আসে চীন। তারপর দুই সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া দেশটি। এরপর ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে তিন সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবুও ২০২২ সালে জন্মহার রেকর্ড সর্বনিম্ন ১ দশমিক ০৯-এ নেমে যাওয়ায় চীন এখন জন্ম ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
চীনের একটি স্পার্ম ব্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের মধ্যে কার শুক্রাণুতে সেরা গুণমান রয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য একটি অনন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সেটি হলো শুক্রাণু দান। আর এর বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থও দেয়া হবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে এমনটিই জানানো হয়েছে এনডিটির এক প্রতিবেদনে।
দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের বরাতে সেই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ৫০ দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার শুক্রাণু দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে শুক্রাণু দিতে একজন শিক্ষার্থীর ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতা থাকতে হবে। ধূমপায়ী, মাদকাসক্ত ও সমকামি হওয়া যাবে না। শুক্রাণুর নমুনাগুলো কমপক্ষে চারটি মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হবে। তা হলো- ঘনত্ব, আয়তন, গঠন এবং গতিশীলতা।
প্রত্যেকবার শুক্রানু দেয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থী ৬ হাজার ১০০ ইউয়ান (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯১ হাজার টাকার বেশি ) পাবেন। শুধু তাই নয়, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচও দেয়া হবে।
চীনের পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাসের কারণে জন্মহার কমে যাওয়ার রিপোর্টের পর গত ১০ সেপ্টেম্বর এই প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করা হয়।
এই প্রতিযোগিতা নিয়ে হেনান স্পার্ম ব্যাঙ্ক ওয়েইবোতে বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ এবং কাজের চাপের কারণে সার্বিক শুক্রাণুর মান খারাপ হয়েছে। এটি অনেক বিবাহিত দম্পতিকে বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত করেছে। তাদের পরিবার এবং সমাজে বৈষম্য এনেছে। রক্তের মতো শুক্রাণু দান একটি মানবিক কাজ। এটি বন্ধ্যা দম্পতিদের জন্য সুখবর আনতে পারে। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজে অবদান রাখতে শুক্রাণু দান করার আহ্বান জানাই।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :