দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ইলিশের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পৌছেছে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৮২০ রুপি তথা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ইলিশ দাম পড়েছে ১ হাজার ৯০ টাকা। সেই ইলিশ ভারতের পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ রুপি কেজি দরে। যা কিনা আমদানি মূল্যে প্রায় দ্বিগুণ। আর খুচরা বাজারে সেই ইালিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ রুপিতে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা।
জানা গেছে, বাংলাদেশের ইলিশ হাওড়া বাজার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাওড়া বাজারে ডাকের মধ্যদিয়ে ইলিশ মাছ বিক্রি শুরু হয়। গতবারের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসেব অনুযায়ী, প্রথমদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১২টি ট্রাকে করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ। মূলত বরিশাল জেলার বিভিন্ন নদীতে ধরাপড়া এই ইলিশের ওজন ১ কেজির বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার নির্ধারিত সময়ের অনেকটা দেরিতে বাংলাদেশের উপহার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। এছাড়াও কাগজে কলমে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের কথা বলা হলেও ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়ায় এবার মাছও কম আমদানির আশঙ্কা।
বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রথম প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৭৯ জন রফতানিকারক আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করতে পারবেন।
আর দ্বিতীয় আরেকটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইলিশ প্রজননের জন্য আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন বা সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
সরকারি এই নির্দেশনার কোনটা কে কিভাবে মানবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার সীমান্তে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে মাছ রফতানি করতে দেবে না বাংলাদেশর কাস্টমস কতৃপক্ষ।
তাই সংশ্লিষ্টর মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করছে, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত তারা ইলিশ পাঠাতে পারবে এবং সেই হিসাবে প্রতিদিন ৭০ টন করে ইলিশ পাঠানো হলে ১ হাজার ৪০০ টনের বেশি ইলিশ রফতানি সম্ভব নয়।
২০১২ সাল থেকে স্থানীয় বাজারে যোগান ঠিক রাখতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। যদিও ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজায় বিশেষ উপহার হিসাবে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর নিয়ম করে শর্ত সাপেক্ষে পদ্মার ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়ে আসছে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :