গাজা-ইসরায়েল ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে রুদ্ধদার বৈঠক করেছে। কিন্তু এই বৈঠক সফল হয়নি বলা চলে। কারণ বৈঠকের পর সংস্থাটি যৌথ বিবৃতির জন্য যে ঐক্যমত প্রয়োজন ছিল তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলও। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি প্রধান শহরে হামাস যোদ্ধা এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনী।
দুপক্ষের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
অপরদিকে গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪১৩ জন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলার কারণে প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশকে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দার আহ্বান জানানো হয়। শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক রবার্ট উড অধিবেশনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, হামাসের হামলার নিন্দা করেছে এমন অনেক দেশ রয়েছে। তবে সব দেশ এখনো নিন্দা জানায়নি।
নিরাপত্তা পরিষদ প্রায় ৯০ মিনিটের বৈঠক করেছে। এছাড়া জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শান্তির দূত টর ওয়েনেসল্যান্ডের এ বিষয়ে একটি ব্রিফিং শুনেছেন। কূটনীতিকরা বলছেন যে, রাশিয়ার মিত্র দেশগুলো হামাসের নিন্দা করার চেয়ে অন্য কিছু আশা করছে।
একুশে সংবাদ/জা.নি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :