ঘরবাড়ি ছেড়েও জীবন বাঁচাতে পারছেন না বহু ফিলিস্তিনিরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, হাসপাতালের মর্গেও মৃতদেহ রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। বাধ্য হয়ে অনেকের মৃতদেহ আইসক্রিমবহনকারী ফ্রিজিং ভ্যান বা অন্যান্য খাবারের ফ্রিজিং গাড়িতে রাখছেন ফিলিস্তিনিরা। আট দিনের টানা হামলায় গাজা যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অষ্টম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী, বিমান হামলার আগে, ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয় তেলআবিব। এরইমধ্যে গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার সময় (আলটিমেটাম) বেঁধে দেয় ইসরায়েল বাহিনী। সে সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা গাজা ছাড়বেন না বলে ঘোষণা জানিয়েছে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দেইর আল বালাহের আল-আকসা মার্টারস হাসপাতালের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব।
তিনি বলেছেন, হাসপাতালে এত পরিমাণ মৃতদেহ আসছে যে মর্গের সীমিত ব্যবস্থাপনায় সেগুলো অনেক দিন আর রাখা যাচ্ছে না। স্বজনদের নিয়ে যাওয়ার আগে, অনেক মৃতদেহ অনেক দিন ধরে হাসপাতালে পড়ে থাকছে। এরপর স্বজনেরা অন্যরা প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে মর্গে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকের মৃতদেহ এসব ফ্রিজিং ভ্যানে রাখা হচ্ছে।
ইয়াসির খাতাব আরও বলেন, গাজায় ত্রাণ সহায়তার আওতায় আরও বেশি মর্গের রেফ্রিজারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি কফিন ও মরদেহ দাফনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম প্রয়োজন।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অষ্টম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :