ইরানে পুলিশি নির্যাতনে গত বছর মারা যাওয়া কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে এবার সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসলামি পোশাকবিধি অমান্য তথা হিজাব না পরায় অভিযোগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানে মাসাকে আটক করেছিল দেশটির নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশ। তিন দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান।
মাসার পরিবারের দাবি তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ইরানি কর্তৃপক্ষের বলছে, অজ্ঞাত স্বাস্থ্যগত কারণে মাসা মারা গেছেন। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে গোটা ইরানে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আন্দোলন।
পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্তা মেটাসোলা বলেছেন, ২২ বছর বয়সি মাসা আমিনির নৃশংস হত্যাকাণ্ড একটি সন্ধিক্ষণ একটি নবযুগ শুরু করে। তার মৃত্যু কট্টরপন্থি দেশটিতে নারী-নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করে, যা ইতিহাস তৈরি করে। মাসার মৃত্যুর জেরে ইরানে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক দমন–পীড়ন চালায়। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানায়।
অধিকারকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের চিন্তার স্বাধীনতার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর শাখারভ পুরস্কার দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শাখারভ পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার ইউরো। আগামী ডিসেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ মাশা হত্যার ঘটনায় ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :