উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিস) ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ভূক্ত দেশের নেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ চায়। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল বাহিনীর ক্রামাগত হামলার পর আরব ও এশিয়ার নেতারা এই প্রথম একসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাল।
সম্মেলনে এই দুই সংগঠনের নেতারা যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জিসিসি এবং আসিয়ান বলছে, হামলার হাত থেকে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় উভয় পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মানতে হবে। একই সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে জেনেভা কনভেনশনের নীতি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়।
কোনো শর্ত ছাড়াই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
এছাড়া উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে এই যুদ্ধের ইতি টানার জন্য বলা হয়। এই দুই আঞ্চলের নেতারা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েল ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে বিরোধ সমাধানে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান তার বক্তব্যে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে তিনি ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। এ সময় তিনি নিরীহ গাজাবাসীদের ওপর ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বছর আসিয়ানভূক্ত ১০ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, গাজায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এ সময় তিনি এ যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
১৯৯০ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। নিজেদের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিস) সদস্যের মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই দারুসালাম, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :