ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজার অভ্যন্তরে হামাসের হাতে অন্তত ২১২ জন ইসরায়েলিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে হামাসের রকেট বাহিনীর উপ-প্রধানও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল হাগারি।
রোববার (২২ অক্টোবর) হামাস জানিয়েছে, গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শনিবার গাজায় হামলা জোরদার করার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। হামলা বাড়ানো হবে বলে ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজায় ৩০টির বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করা হবে। যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ঝুঁকি কমাতে তারা গাজায় হামলা বাড়াবে। গাজার উত্তরাংশে অবস্থানকারী ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণে যেতে বলেছে তারা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে ইসরায়েল হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের কাছাকাছি। নিহতদের মধ্যে অন্তত এক হাজার ৫২৪ শিশু। এর মধ্যে এক হাজার নারীও রয়েছেন। প্রাণ গেছে ২২ সাংবাদিকের।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ৮১ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :