ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, তার দেশ নীতিগত কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করে যাবে। সম্প্রতি গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আশ্বাস দিয়েছেন।
ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যেই গত সপ্তাহে তিনি তেহরান সফরে এসে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত শনিবার ওই সাক্ষাতের খবর প্রকাশিত হলেও সেখানে দুই নেতার মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে সেকথা জানানো হয়নি। তবে রোববার ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা ওই সাক্ষাতের কিছু বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে।
ইরনায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, দখলদার ইহুদিবাদীদের প্রতিহত করার কাজে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলোকে সহযোগিতা করা ইরানের স্থায়ী নীতি।
তিনি আরো বলেন, গাজার বিরুদ্ধে চলমান পাশবিক হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইল আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সরাসরি সাহায্য পাচ্ছে। সর্বোচ্চ নেতার ভাষায়, গাজায় ইসরাইল সরকারের অপরাধযজ্ঞে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সুনির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা সরকার সহযোগিতা করছে।
সাক্ষাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে গাজা যুদ্ধের সর্বশেষ খবরাখবর, অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের স্বরূপ এবং পশ্চিম তীর পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন ইসমাইল হানিয়া।
হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য এবং লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি ওসামা হামদান শনিবার প্রথম আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে ইসমাইল হানিয়ার সাক্ষাতের খবর প্রকাশ করেছিলেন। হামদানের বরাত দিয়ে লেবানন-ভিত্তিক আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছিল, হানিয়া বৃহস্পতিবার ইরান সফর করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ও সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়া এর আগে গত জুন মাসে সর্বশেষ ইরান সফর করেছিলেন। তার ওই সফরের প্রায় চার মাস পর গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে বড় ধরনের অভিযান চালান হামাস যোদ্ধারা। আল-আকসা তুফান নামক ওই অভিযানে অন্তত ১,৪০০ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনা নিহত হয়।
ওই অভিযানের প্রতিশোধ নিতে তেল আবিব সরকার গাজা উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের উপর এক মাস ধরে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। ইসরাইলিদের এই পাশবিকতায় রোববার পর্যন্ত ৯,৭৭০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের ৪,৮০০ জনই শিশু।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :