ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত দেড় মাসের অভিযানে নিহত শিশুদের সংখ্যা ৬ হাজার এবং নারীদের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩২ জনে পৌঁছেছে ।
এই নিহতদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই আহতদের মধ্যেও নারী ও শিশুদের হার ৭৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর অভিযানে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা ছাড়াও গত দেড় মাসে গাজায় অন্তত ২০৫ জন ডাক্তার-নার্স, ২৫ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ৬৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে গাজার প্রশাসনিক কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত দেড় মাসের গোলা বর্ষণে উপত্যকার ৪৫ টি বাসভবন ১০২ টি সরকারি ভবন, ২৬৬ টি স্কুল এবং ৮৫ টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার বাসভবন, ১৭৪ টি মসজিদ এবং ৩ টি গির্জা।
এছাড়া গাজার ২৬ টি হাসাপাতাল এবং ৫৫ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে প্রশাসনিক কার্যালয়।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ এবং ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র সংঘাতে নিহত শিশুর মোট সংখ্যা মাত্র কয়েক সপ্তাহে গাজায় যত শিশু নিহত হয়েছে। গেল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :