দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরত বোমা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঘনবসতিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খবর আল-জাজিরার
সবশেষ বুধবারও মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বুধবার সিরিজ শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছাড়াও একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জিওলোকেটেড ভিডিও অনুসারে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কুয়েতি হাসপাতালের কাছাকাছি একটি মসজিদেও হামলা চালিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষক হেলেন ল্যাকনার আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘প্রতিটি ঘণ্টা পার হচ্ছে, তা আরও একটি ঘণ্টা যেখানে শত শত ফিলিস্তিনি বোমা হামলার শিকার ও নিহত হচ্ছে। প্রতিটি বিলম্বই একটি বিলম্ব, যা ইসরায়েলিদের তাদের নিরলস বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে দেয়।’
যুদ্ধবন্ধে রেজুলিউশন পাস হলেও কার্যত কোনো ফল দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবটি পাস হলেও, ইসরায়েলিরা এই জাতীয় পদক্ষেপগুলো উপেক্ষা করার একটি দীর্ঘ ইতিহাস পেয়েছে। সুতরাং আমি এই রেজুলশনটি পাস হলেও এর কোনো দ্রুত এবং গুরুতর ফলাফল দেখতে পাচ্ছি না।’
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস গোষ্ঠীকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় এমন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সংবাদ সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। হামাসকে নির্মূল না করে বিজয় না আনা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।’
এই বার্তা এমন এক সময় এসেছে, যখন গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় মানবিক বিরতির জন্য ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস নেতাদের কাছে মাত্র দুটি বিকল্প আছে ‘মৃত্যু অথবা আত্মসমর্পণ’। তবে নেতানিয়াহুর বক্তব্য নিয়ে হামাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :