ইহুদিবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসী সেনারা পদ্ধতিগতভাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি লুটপাট করছে বলে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে। জেনেভা-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউরো-মেডিটেরিনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর’ ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল (শনিবার) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপরাধ ব্যাপক মাত্রায় আটক, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ঘটানো এবং নির্বিচার হত্যাকাণ্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিন সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র চুরি, ঘরবাড়ি লুটপাট এবং তা পুড়িয়ে ফেলছে। আর এসব করা হচ্ছে একটি নিয়মতান্ত্রিক কৌশলের অংশ হিসেবে যা স্পষ্টতই ফিলিস্তিনি জনগণকে গণশাস্তি দেয়ার নামান্তর।
‘ইউরো-মেড’ এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ল্যাপটপ কম্পিউটার, স্বর্ণ এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সম্পদ ও অর্থ চুরি করছে। এতে আরো বলা হয়েছে, “প্রাথমিক অনুমান থেকে জানা যায় যে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র চুরি করার পাশাপাশি কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের মূল্যবান সম্পদ লুট করেছে।”
সাবিত সেলিম নামের একজন ফিলিস্তিনির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইসরাইলি সেনারা গাজা শহরের দক্ষিণে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে এবং তার দুই ছেলেকে অপহরণ করে। এরপর দখলদার সেনারা তার বাসভবনে থাকা সমস্ত স্বর্ণ এবং নগদ অর্থ লুট করে।”
সেলিম বলেন, “ইসরাইলি সেনারা আমার বাড়ি থেকে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছিল তার মূল্য ১০,০০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং আমার স্ত্রী ও আমার বড় ছেলের স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় সমপরিমাণ মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।”
উম্মে মুহাম্মাদ গারবিয়া নামে একজন ফিলিস্তিনি নারী ইউরো-মেড মনিটরকে বলেছেন, চলতি মাসের শুরুতে ইসরাইলি বাহিনী তার বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পর জোর করে তার সোনা ও গয়না কেড়ে নিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :