নতুন বছরের প্রথম দিনে জাপানের ইশিকাওয়ায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের সন্ধানে কাজ করছেন এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী। খবর বিবিসির।
সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের জেরে দেশটিতে সুনামিও আঘাত হানে। ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরে ১.২ মিটার উচ্চতার ঢেউ আঘাত হেনেছে।
এদিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এখন পর্যন্ত ১৫৩ বার কেঁপে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল। মূল ভূমিকম্পটির গভীরতা এতটাই ছিল যে, তার আঁচ পেয়েছে দূর পশ্চিমের দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলও।
ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে ‘বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। পরে অবশ্য তা ‘সুনামি সতর্কতায়’ নামিয়ে আনে দেশটির আবহাওয়া অফিস। তবে কর্মকর্তারা এখনও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছেন। জাপান সাগরের উপকূলীয় কয়েক শ’ কিলোমিটার এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে উঁচু এলাকায় নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তথ্যমতে, বছরের প্রথম দিন আঘাত হানা বেশির ভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ এর বেশি। ভূমিকম্পগুলো মাঝারি মাত্রার হলেও মঙ্গলবার ভোরেও দেশটিতে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের ফায়ার সার্ভিস জানায়, তারা ভূমিকম্পে অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর পেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু যে ঢেউ এসেছে, তার উচ্চতা এক মিটারের বেশি। তাদের হিসেবে মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫০টির মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ভবন ধসে মানুষ চাপা পড়ার অন্তত ছয়টি ঘটনা জানা গেছে। ভূমিকম্পের পর বড় ধরনের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে ইশিকাওয়া অঞ্চলে। এরই মধ্যে রাজধানী টোকিওর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি।
আগামী দিনগুলোতে আরও ভূমিকম্প হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :