জাতিসংঘের আদালতের (বিশ্ব আদালত) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৫ মিনিটের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। নতুন ভিডিওটিতে তিন নারী জিম্মিকে কথা বলতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত সেই ভিডিওটির তিন তরুণীর মধ্যে দুই জন (ড্যানিয়েলা গিলবোয়া এবং কারিনা আরিয়েভ) সেনা সদস্য। তাদের বয়স ১৯। অন্য একজন ডোরন স্টেইনব্রেচার (৩০), তিনি নিজেকে গাজা সীমান্তের কাছে একটি ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের বাসিন্দা হিসাবে পরিচয় দেন।
তরুণীরা জানিয়েছেন, ‘গত ১০৭ দিন ধরে বন্দি রয়েছেন তারা।’
এর আগে শুক্রবারের জাতিসংঘের আদালতের রায়ে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার পাশাপাশি উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি প্রকাশ করে হামাস। ধারণা করা হচ্ছে, গত রোববার সেটি ধারণ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে গত প্রায় সাড়ে চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার এবং ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ধসে যাওয়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপের নীচে এখন ও চাপা পড়ে আছেন অন্তত কয়েক হাজার মানুষ।
গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত এক মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছেন। এই ১৩২ জন জিম্মির মধ্যে ভিডিওর তিন নারীও রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ম.আ.প্র/জাহ
আপনার মতামত লিখুন :