অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েক শ মাইল দীর্ঘ টানেল নেটওয়ার্ককে সমুদ্রের পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিতে কাজ শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) এরই মধ্যে টানেলগুলোতে পাম্প থেকে পানি ফেলা শুরু করেছে। আইডিএফের বরাত দিয়ে এই সংবাদ জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি আইডিএফ ইউনিট এবং কর্মকর্তারা গাজার টানেল নেটওয়ার্ক পানিতে ডুবিয়ে দেয়ার কাজ শুরু ইসরায়েলের
যৌথভাবে `গাজা উপত্যকার হামাসের সুড়ঙ্গে পানি প্রবেশের জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম তৈরি করেছে`। আইডিএফ স্পষ্ট করেছে যে সব টানেল প্লাবিত হচ্ছে না, কারণ যে প্রক্রিয়ার মধ্যমে পাইপ এবং শ্যাফ্টের সঙ্গে পাম্প সংযুক্ত করা রয়েছে, তা টানেলের সব জায়গার জন্য উপযুক্ত না এবং কিছু এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
টানেল প্লাবিত করার আগে, আইডিএফ ভূগর্ভস্থ পানি যাতে দূষিত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সমগ্র এলাকার মাটি এবং পানি ব্যবস্থার বিশ্লেষণ সহ `পেশাদার এবং ব্যাপক` পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা বলছেন, হামাসের টানেল ধ্বংস করার অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বিমান হামলা, ভূগর্ভস্থ কৌশল এবং বিশেষ অভিযান। এর আগে টানেল পানি দিয়ে প্লাবিত করার একটি পদ্ধতির গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সফলভাবে সম্পন্ন করে দখলদার বাহিনী।
টানেল নেটওয়ার্কে পানি ফেলার ফলে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের কোনো ক্ষতি হবে কি না—এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জিম্মিদের অবস্থানের ওপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে এবং তাদের ক্ষতি করতে পারে এমন কোনো ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ আইডিএফ নেবে না।
আইডিএফের আরও অনুমান, হামাস এই টানেল নির্মাণে ৬ হাজার কংক্রিট ও ১ হাজার ৮০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের অনুমান, সম্ভবত এই প্রকল্পে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে হামাস।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :