মিয়ানমারে সব তরুণ–তরুণীর জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। দেশটিতে চলমান অস্থিরতার মধ্যে গতকাল শনিবার এই আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের সামরিক বাহিনীর অধীনে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। এ জন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় উপবিধি, পদ্ধতি, ঘোষণাপত্র, বিজ্ঞপ্তি এবং নির্দেশাবলি প্রকাশ করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমারে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের এই আইনটি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা সেনাদের সময়সীমা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। যারা এই সমন উপেক্ষা করবে, তাদের পাঁচ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও পরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জান্তা সরকার কঠোর হাতে ওই বিক্ষোভ দমন করে। বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান। গ্রেপ্তার করা হয় আরো অনেককে।
সম্প্রতি জাতিগত প্রতিরোধযোদ্ধা ও জান্তাবিরোধীদের সাথে একের পর এক সংঘাতে জড়িয়ে পরাজিত হচ্ছে সেনাবাহিনী। ১৯৬২ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে এটিকেই দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :