যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করে দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকানদের শক্তি এবং অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম দুটি জাতির (বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।ডোনাল্ড লু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আমেরিকানরা তাদের শক্তি এবং অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে তারা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তার জন্য আমরা গর্বিত।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
ইমরান বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে। সকলের সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে, দুই দেশ তাদের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে এবং এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ ‘‘সোনার বাংলায়’’ রূপান্তরিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা সকল বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করি।’
পরে অতিথিদের উপস্থিতিতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্যদিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ফরেন মিশন অফিসের ডিরেক্টর রেবেকা গঞ্জালেসসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন সরকার, ইউএসএআইডি, ইউএসটিআর, এনডিআই, আইআরআই ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :