ইরানের কড়া হামলার জবাব দিতে রীতিমতো দিশেহারা ইসরায়েল। ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি জানান, ইসরায়েলের সামরিক, গোয়েন্দাসহ, প্রতিরক্ষা রসদ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তেহরান। ইরানের পরিকল্পিত হামলা ইসরায়েলের প্রতিশোধ নেয়াকে অনেক কঠিন করেছে বলে মনে করেন তিনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ইরানের এমন জবাবে দিশেহারা ইসরায়েলি বাহিনী।
বাঘেরি ইসরাইল এবং তার সহযোগীদের যেকোনো অন্যায়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকি দেশটির সশস্ত্র বাহিনী কঠোর জবাবের সঙ্গে মোকাবিলা করবে।
বাঘেরি আরও বলেন, ইসরায়েলের ওপর সফল হামলার পর আপাতত আর কোনো হামলা চালাবে না ইরান। কিন্তু ইসরায়েল ইরান-সিরিয়া বা অন্য কোথাও হামলা চালালে পরবর্তী পদক্ষেপ আরও কঠোর হবে।
অন্যদিকে ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কোর্পস বা আইআরজিসি`র প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস’ গণহত্যার প্রচারক ইসরায়েলের জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা।
এদিকে, রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। সেগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েল প্রতিহত করলেও অন্তত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইরানের একটি বার্তা সংস্থা। ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, ইসায়েলই নিশ্চিত করেছে রেমন ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, রেমন ঘাঁটিতে খুব দ্রুত গতিতে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র। ওই সময় সেখানে আগুনের ফুলকিও দেখা যায়।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। সেই থেকে দুই ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ওঠে। এরপর কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার যে হুঁশিয়ারি ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তা রোববার (১৪ এপ্রিল) বাস্তবায়ন করে দেশটি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :