প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এ পাল্টা হামলা চালিয়েছে তেহরান। আর ইসরায়েলে ইরানের হামলার পরেই বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। ইরান ইসরায়েল উত্তেজনার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে।
ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কে প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেলের দামে উঠেছিল ৯২.১৮ ডলার, যা অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।
বিশ্বে প্রতিদিন যে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার বেশিরভাগ সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ইরান নিজেও একটি বৃহৎ জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থেকে বিশ্ববাজারে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়ে থাকে তার একটি বিরাট অংশ যায় ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এর পার্শ্ববর্তী জলপথ দিয়ে। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে এসব সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করে দেবে ইরান। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।
ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাতে পারে এমনটা ধারণা করছেন অনেকে। তেমনটি ঘটলে ইরান ইসরায়েল মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলে সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :