পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের আশপাশে অবস্থানরত নৌবাহিনীর সদস্য ও অন্য সেনারা এ মহড়ায় অংশ নেবেন। সোমবার ৬ মে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন পুতিন। ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পারমাণবিক যুদ্ধের ‘বাস্তব’ ঝুঁকির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এ মহড়া চলাকালে কৌশলগত নয় এমন (নন-স্ট্র্যাটেজিক) পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি অনুশীলনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
‘নন-স্ট্র্যাটেজিক’ পারমাণবিক অস্ত্র ‘ট্যাকটিক্যাল’ পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবেও পরিচিত। ফোর্বস–এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ‘স্ট্র্যাটেজিক’ ও ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্রের পার্থক্য মূলত এর আকার এবং লক্ষ্যবস্তুতে। ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্রের ওয়ারহেড তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী। জনবহুল এলাকার পরিবর্তে যুদ্ধক্ষেত্রের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে নিক্ষেপের উপযোগী করে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্রের ওয়ারহেড তৈরি করা হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘অদূর ভবিষ্যতে’ এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ‘নির্দিষ্ট কয়েকজন পশ্চিমা নেতার হুমকির মুখে’ রাশিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলা চলাকালে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ক্রেমলিনের হুমকিতে পশ্চিমা নেতারা ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। পুতিন বক্তৃতা-বিবৃতিতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতির বিষয়টি বারবার সামনে আনছেন। পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিষিদ্ধে সই হওয়া একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকেও গত বছর সরে আসে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়ার ওপর দেওয়া পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ অবসানে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে জোর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/প্র. আ./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :