ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া সত্ত্বেয় সোমবার রাতে রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যে দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ভোগে পড়েছে রাফায় আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী। সোমবার ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
গতকাল বিকেলে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর অনেকে রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই উল্লাস ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিকে হয়ে যায়।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। একটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। তারা রাফার ফিলিস্তিনি অংশ দেখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলটি মিশর এবং গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের একমাত্র পথ।
গার্ডিয়ান বলছে, নিরপেক্ষভাবে ওই প্রতিবেদনের সতত্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং মিশর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রাফাহ ক্রসিংয়ের ২০০ মিটার দূরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা রাফায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের বিশ্বাস ইসরায়েল সেখানে বড় ধরনের অভিযান চালাবে না। কারণ রাফাতে অভিযান চালানো বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কায়েরো এবং মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস যে শর্তে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে তাতে তেল আবিরের শর্ত পূরণ হয় না। তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইসরায়েল আরও প্রতিনিধি দল কায়রো পাঠাবে।
ইসারায়েল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :