ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাএল ক্যাটজ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স– এ দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর আল-জাজিরার
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয় ইসরাএল ক্যাটজ এক্সে দেওয়া পোস্টে হামাস ধ্বংস সম্পর্কে বলেছেন, এটি ছাড়া আর কোনো যুদ্ধ নেই।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস সম্প্রতি আমেরিকা, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তবে এ চুক্তিতে রাজি হয়নি ইসরাইল। এরইমধ্যে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের রাফায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। চুক্তির প্রথম ধাপে ৪০ দিনের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় মুক্তি দেবে হামাস। এই দফায় যারা মুক্তি পাবে তারা হলো- নারী, শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা। প্রত্যেক জিম্মির বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।
দ্বিতীয় ধাপে পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে আরও কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। পাশাপাশি গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
চুক্তির তৃতীয় ধাপে অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলায় নিহত বা জিম্মি অবস্থায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবার মরদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিনিময়ে ইসরাইলে বন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ইসরাইল এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে তাতে ইসরাইলের দাবিগুলো পূরণ হয়নি।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
একুশে সংবাদ/যু.র/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :