AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২:২৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ দিয়েছে ইউরোপের এই দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

তাদের সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা।

তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

এছাড়া রিটার্ন চুক্তিটির ফলে বাধ্যতামূলক কোনো সাক্ষাৎকার ছাড়াই অভিযুক্তদের দেশে ফেরত পাঠনো যাবে কারণ এসকল অভিবাসীদের দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক প্রমাণ রয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, চলতি সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়। সেখানে উভয় দেশ তাদের মধ্যকার অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা জানায়।

টমলিনসন বলেছেন: ‘অবৈধভাবে এখানে আসা বা থাকা বন্ধ করার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণের কাজ ত্বরান্বিত করা আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ (যুক্তরাজ্যের) একটি মূল্যবান অংশীদার এবং আমরা তাদের সাথে এই ইস্যুর পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের চুক্তিগুলো অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে বলে আমরা ইতোমধ্যে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পেয়েছি। বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন এবং আমি সবার জন্য ন্যায্য ব্যবস্থা তৈরি করতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’

দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (অন্যান্য দেশের মানুষকে) যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয় – সাধারণত সেটা মাত্র কয়েক মাস হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন বা অ্যাসাইলাম দাবি করলে তার দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কেউ এই ধরনের আবেদন করলে তাদের নির্বাসনে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটির হোম অফিস মানবাধিকার আইনসহ বিশাল বাধার সম্মুখীন হয়।

গত মাসে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

এর মানে যুক্তরাজ্যের ভিসা নিয়ে প্রবেশকারী প্রতি ১৪০ জনের মধ্যে একজন দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানের প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ জন নাগরিক দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এরপরই ভারতের ৭ হাজার ৪০০ জন, নাইজেরিয়ার ৬ হাজার ৬০০ জন এবং আফগানিস্তানের রয়েছে ৬ হাজার জন।

অবশ্য যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা এটিই প্রথম নয়। গত বছর যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার নেই এমন ২৬ হাজার লোককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি।

এছাড়া আলবেনিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি দেশটি থেকে ছোট নৌকায় করে অভিবাসীদের আগমনের সংখ্যা ৯০ শতাংশেরও বেশি কমাতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

 

একুশে সংবাদ/ঢা.পো/সা.আ

Link copied!