মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালালে কমপক্ষে ৬ জন নিহত এবং বেশে কয়েকজন আহত হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছিল, নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের স্কুলের উপরের তলায় একটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হামাসের মিডিয়া অফিস প্রথমে জানিয়েছিল অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে হয়েছে। পরে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি ওই স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ভিডিও ফুটেজে ধ্বংসপ্রাপ্ত ক্লাসরুম এবং কাফনে মোড়ানো অনেক মৃতদেহ দেখা গেছে। অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল আহত ও মৃতদের নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। হামলায় আহত একজন নারী ভিডিওতে চিৎকার করে বলেছেন, যথেষ্ট যুদ্ধ হয়েছে। আমরা বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছি। ইসরায়েলিরা ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি এই হামলাকে ‘গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল’এর স্পষ্ট প্রমাণ বলে অভিহিত করেছে। মিডিয়া অফিসের একজন মুখপাত্র ইসমাইল আল-থাওয়াবতা এই হামলাকে ‘ভয়ংকর গণহত্যা’বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে।
আল-থাওয়াবতা আরো বলেছেন, ‘আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক মৃত এবং আহতদের এখনও নিয়ে আসা হচ্ছে। হাসপাতালে এখন ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী দিয়ে পরিপূর্ণ।’
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ওই এলাকায় জাতিসংঘের একটি স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যেখানে নুসিরাতের হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে সেখানে ‘হামাসের কম্পাউন্ড’ ছিল।
কিন্তু ইসরায়েলিদের এই দাবির বিরুদ্ধে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের মুখপাত্র ইসমাইল আল-থাওয়াবতা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইসরাইল অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং নৃশংস এই অপরাধকে ন্যায্যতা দিতে মিথ্যা বানোয়াট গল্প তৈরি করছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
একুশে সংবাদ/কা.ক/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :