সৌদি আরব সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় হজ চলাকালীন সময় তাপজনিত মৃত্যু গত চার দশকে কমেছে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে অত্যধিক গরমের কারণে ‘হিটস্ট্রোক’ কমেছে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। মক্কায় প্রতি দশকে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে মৃত্যু ও স্ট্রোক দুটোই কমছে। সম্প্রতি দেশটির অন্যতম চিকিৎসা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে সোমবার (১০ জুন) এ খবর প্রকাশ করে আরব নিউজ।
‘মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য জলবায়ু-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে’ শিরোনামের গবেষণাটিতে এসব তথ্য ওঠে আসে।গবেষণায় দেখা গেছে, পবিত্র নগরী মক্কায় প্রতি ১০ বছরে গড়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সৌদি সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে তাপজনিত মৃত্যু ও সান-স্ট্রোক দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ট্র্যাভেল মেডিসিনে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, হজ মৌসুমে পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যগত অবস্থার যে সম্পর্ক তা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এসপিএ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের জন্য তাপ-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য নেয়া ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে খোলা জায়গায় বাতাসকে শীতল করতে কুয়াশা তৈরিকারী পাখার ব্যবহার।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনা মূল্যে পানি ও ছাতা বিতরণ করা হয়। এবং ২০১০ সাল থেকে পবিত্র শহরগুলোকে সংযোগকারী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও দ্রুতগতির মাশায়ের ট্রেন সার্ভিস সচল রয়েছে। রিয়াদ সরকার ও এর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হজ চলাকালীন বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার জন্য সব ব্যবস্থা সহজ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদ সরকার প্রাকৃতিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা উন্নত এবং পবিত্র স্থানগুলোর তাপমাত্রা কমাতে পরিবেশগত প্রকৌশলসহ ভবন নকশায় কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ছায়াযুক্ত স্থানের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানোসহ অতিরিক্ত ভিড় কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে ১৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে লাখ লাখ হজযাত্রী সৌদিতে এসে থাকেন।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :