কয়েকদিনের অনিশ্চয়তার পর আবারও লোকসভা স্পিকার পদের জন্য ওম বিড়লাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে স্পিকার পদে পাল্টা প্রার্থী দিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) কংগ্রেসের কে সুরেশ বিরোধী জোটের স্পিকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কে সুরেশ যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তবে বুধবার লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের জন্য ভোট হবে। ভারতের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্পিকার পদের জন্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধিতা ছাড়াই।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিড়লার স্পিকার পদে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এমপিদের ভোটে লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হন।
স্পিকার পদে মনোনয়ন জমা দেয়ার পর ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কে সুরেশ গণমাধ্যমকে বলেন, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত... আমার নয়। একটা কনভেনশন আছে.. ডেপুটি স্পিকার হবেন বিরোধীদের থেকে। কিন্তু তারা (বিজেপি) এটা করতে রাজি নয়। আমরা বেলা ১১টা ৫০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।
২০১৪ ও ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে স্পিকার পদে বিজেপি মনোনীত সুমিত্র মহাজন ও ওম বিড়লাকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি। দুজনই বিনা বাধায় স্পিকার নির্বাচিত হন।
তবে এবারের লোকসভায় বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে, যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২ আসন থেকে কম। সরকার গঠনের জন্য নীতীশ কুমারের জেডিইউ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে বিজেপিকে।
বিরোধীদল বলেছে, ডেপুটি স্পিকারের পদটি তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলে তারা এনডিএ`র পছন্দের স্পিকারকে মেনে নেবে। সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এ বিষয়টি জ্যেষ্ঠ্য বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যেই বিক্ষোভ করেছে বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোট। সোমবার (২৪ জুন) প্রো-টেম স্পিকার নিয়োগের বিরোধিতা করে সংসদে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভ করেন জোটের নেতারা। এ সময় হাতে সংসদের কপি উঁচিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
বিক্ষোভকারী নেতাদের ‘গণতন্ত্রের অভিভাবক’ অভিহিত করে, কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল এক্সে-এ বিক্ষোভের একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ভিডিওতে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের নেতা রাহুল গান্ধী এবং টিএমসি নেতা মহুয়া মৈত্রকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
এ সময় তারা ‘‘আমাদের সংবিধান ‘দীর্ঘজীবী হোক’, ‘দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘সংবিধান কে বাঁচাবে? আমরা বাঁচাবো, আমরা বাঁচাবো বলে স্লোগান দেন।’’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :