পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পরিচালিত গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) ফোন কলে ও বার্তায় আড়িপাতার অনুমতি দিয়েছে। তবে এই অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
মাসকুর হুসেইন নামের এক ব্যক্তি আইনজীবী নাদিম সারোয়ারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এ অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ফোনে আড়ি পাতার ফলে ব্যক্তির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এছাড়া উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করে টেলিফোনে আড়ি পাতা হলে পরবর্তীতে তার অপব্যবহার করা হবে।
রিট পিটিশনে বলা হয়, সংবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। এছাড়া ৫৪ ধারা অনুযায়ী সরকার চাইলেই কোনো নিয়ম ছাড়া এ ধরনের ক্ষমতা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে পারে না। এর আগে, পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজীর তারার গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টকে জানান, ৮ জুলাই তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক নোটিশে এই বিষয়টি কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে এই আইনের অপব্যবহার করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, এই পদক্ষেপ শুধু অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড অনুসরণ করাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এটি যেন জনসাধারণের জীবন ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করে সরকার তা নিশ্চিত করবে। ূআইএসআইকে ফোনে আড়িপাতার বৈধতা দেওয়ায় বিরোধী দলসহ সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছে।
দলটির এক নেতা ওমর আইয়ুব খান জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের এই ক্ষমতা সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে। তাদের দল আদালতে গিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাকালে ইমরান খানও রাজনীতিবিদদের টেলিফোনে আইএসআইয়ের নজরদারিতে সমর্থন যুগিয়েছিলেন, যদিও সেসময় এর কোনো আইনি অনুমোদন ছিল না।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :