থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। থাইল্যান্ডের ফেউ থাই পার্টি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিকার ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন ফেউ থাই পার্টির সাধারণ সম্পাদক সারোওং থিয়েনথং।
আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
পেতংতার্ন বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের দল ও জোটের শরিকেরা নেতৃত্ব দেবে। এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
এর আগে গত বুধবার থাইল্যান্ডের আদালত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন। একই সঙ্গে মন্ত্রীসভাও ভেঙে দেওয়ার রায় দেন আদালত। এরপর ফেউ থাই পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নাম ঘোষণা করা হয়।
থাইল্যান্ডে ১১ দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল ফেউ থাই পার্টি।
সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ফলে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘনের’ অভিযোগ মাথায় নিয়ে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এই নিয়ে স্রেথাসহ ফেউ থাই পার্টির তিনজন রাজনীতিক সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন।
থাইল্যান্ডের এই আদালত এর আগে দেশটির বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকেও (এমএফপি) বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এমএফপির সাবেক প্রধান পিটা লিমজারোয়েনরাতকেও রাজনীতি থেকে এক দশকের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পেতংতার্ন নির্বাচিত হলে তিনি হবেন থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির শীর্ষপদে অধিষ্ঠিত সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পেতংতার্নকে মনোনয়ন দেওয়া একটি আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ যা দেশটিতে ক্ষমতার লড়াইকে দীর্ঘায়িত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :