ভারী বৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ভারতের ত্রিপুরা, মধ্য প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। ত্রিপুরায় সাতজনসহ বিভিন্ন রাজ্যে অন্তত ২২ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। আশ্রয় হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে হাজারো মানুষ। বন্যার পানির তোড়ে নিখোঁজ বেশ কয়েকজন।
গেল দুইদিনের ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, রাজ্যের প্রধান চারটি নদী খোয়াই, মহুরি, ধলাই ও হাওড়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই চার নদীই বাংলাদেশ-ভারত আন্তসীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত। ফলে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোও।
ভারী বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতি জেলাও। বাগাফায় ৩৭৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার, বিলোনিয়ায় ৩২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার ও অমরপুরে ৩০৭ দশমিক ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ত্রিপুরার রাজ্য সরকার বন্যার্তদের জন্য ১৮৩টি আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদিকে সিকিমে ভূমিধসে ভেঙে পড়েছে তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। নাগাল্যান্ডে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ভূমিধসের আশঙ্কায় মিজোরামে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :