প্রায় দুই মাসের অনিশ্চয়তার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মিশেল বার্নিয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার গড়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের অঙ্গীকার করেছেন।সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ৭৩ বছর বয়সী বার্নিয়ের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাবেক প্রধান ব্রেক্সিট মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে ব্রেক্সিট আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ডানপন্থী রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) সুপরিচিত রাজনীতিক বার্নিয়ের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ফ্রান্স এবং ইইউয়ের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে ছিলেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে প্রধানমন্ত্রী বার্নিয়েরকে। এখন এমন একটি সরকারব্যবস্থা গঠন করতে হবে যেখানে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক ভাগে বিভক্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সুরক্ষিত থাকবে। বিভক্তি এড়িয়ে টেকসই একটি সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ হাতে নিতে হবে বার্নিয়েরকে।
গত ৯ জুন আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৩০ জুন থেকে ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফলে বামপন্থী জোট নিউ এনএফপি এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় হয় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বল। আর তৃতীয় অবস্থানে ছিল উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :