সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে উড়োজাহাজের ককপিটের উইন্ডশিল্ডে (সামনের অংশের কাচ) ফাটল দেখা দেয় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে। ফাটলটি যখন পাইলটের চোখে পড়ে তখন তিনি ওমানের আকাশে। সেখান থেকেই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুবাইয়ে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে।
কিন্তু বিজি-০৩৪৮ নম্বরের ফ্লাইটটি প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওমানের আকাশে এলে ত্রুটি ধরা পড়লে ২৪৪ জন যাত্রী নিয়ে সেটি আবার দুবাই ফেরত যায়।
আকস্মিক এ ঘটনায় বিপাকে পড়া যাত্রীদের আনতে অবশ্য রোববারই ঢাকা থেকে দুবাই উড়ে গেছে বিমানের আরেকটি উড়োজাহাজ।
রোববার বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, ‘যে ফ্লাইটে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটির যাত্রীদের ফেরত আনতে আজ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে একটি ফ্লাইট দুবাই গেছে। সেটি আনুমানিক বিকাল ৫টা নাগাদ দুবাই পৌঁছাবে এবং রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা দেরিতে ওই আরোহীরা দেশে পৌঁছাবেন।বিমানের উইন্ডিশিল্ডে ফাটলের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের পথে রওনা হওয়ার পর উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেওয়ায় ২ ঘণ্টা বাদে ২৯৭ আরোহী নিয়ে শাহজালাল বিমান বন্দরে ফিরে আসে বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
গেল জুনেও উইন্ডশিল্ডে ফাটলের কারণে চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি যাওয়ার পথে ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে বিমানের একটি ফ্লাইট। বোয়িং ৭৩৭-৭ মডেলের উড়োজাহাজ ছিল সেটি।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ এর ককপিটের কাচ ফেটে গেলে সেটিকে মালয়েশিয়ায় গ্রাউন্ডেড করা হয়। একই বছরের অগাস্টে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার মাঝ আকাশে একই সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটিকে ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে বিমানের দুবাই স্টেশনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ফ্লাইটের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন এবং তাদের জন্য ঢাকা থেকে একটি রেসকিউ (উদ্ধারকারী) ফ্লাইট আসছে।’
এক প্রশ্নে তিনি সমস্যাটিকে ‘আকস্মিক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এয়ারক্রাফটির ফ্রন্ট উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক দেখা দিয়েছিল, তাই ফেরত আসতে হয়েছে। এ ধরনের সমস্যা আগে থেকে ট্রেস করা গেলে ফ্লাইট বাতিল করা হতো, সমস্যাটা আকস্মিক।’
এদিকে এ ঘটনায় ওই উড়োজাহাজের আরোহীরা সময়মতো দেশ না ফিরতে পারায় পড়েছেন বিপাকে। তারা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই আছেন নতুন ফ্লাইট ধরার অপেক্ষায়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :