যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডোনাল্ড লু তার পুরো সফরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার প্রচারে সহায়তা করার জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।
ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত এক সামিটে উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রচারে মার্কিন-ভারত সহযোগিতার কথা তুলে ধরবেন লু। আরও কিছু আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ডোনাল্ড লু। তিনি একটি প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন, যেখানে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
মিডিয়া নোটে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রফতানিকারক দেশকে তার অর্থনীতি চাঙা করতে সহায়তা করতে চায় ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, আগামী ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আলোচনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ হতে যাচ্ছে।
সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের অন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে রাজস্ব ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের পরিস্থিতিও উঠে আসতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মার্কিন কর্মকর্তারা দেখা করবেন বলে জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :