মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর একটি সামরিক আদালতে তিন মার্কিন নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়ে তাদের এ সাজা দেয় হয়।
সামরিক আদালতের প্রেসিডেন্ট ফ্রেনি ইহুম বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং হামলার জন্য তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রায় দেয়ার সময় তা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে- ব্রিটিশ, বেলজিয়াম এবং কানাডার একজন করে রয়েছেন। তাদের আপিলের জন্য পাঁচদিন সময় দিয়েছে আদালত। এছাড়া গত জুনে শুরু হওয়া এ মামলা ১৪ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ছয় বিদেশি নাগরিকের আইনজীবী রিচার্জ বন্ড বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, মামলার তদন্তের সময় তার ক্লায়েন্টদের জন্য পর্যাপ্ত দোভাষী ছিল না। আদালতের রায়েল বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যর্থ অভ্যুত্থানে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গত ১৯ মে রাজধানী কিনশাসাতে প্রেসিডেন্ট অফিস দখল করে নেয়। এ ঘটনায় ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের নেতা মার্কিন-ভিত্তিক কঙ্গোলিজ রাজনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন। এছাড়া ব্যর্থ অভ্যুত্থানে বন্দুকধারীদের হামলায় দুই নিরাপত্তাকর্মীও নিহত হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মার্সেল মালাঙ্গাও (২০) রয়েছেন। তিনি অবশ্য বিচারের সময় বলেছিলেন যে তিনি বাধ্য হয়ে এই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন; কারণ তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন।
কঙ্গোর আইন ও দণ্ডবিধিতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ নয়। তবে দেশটির বিচার ব্যবস্থা এই দণ্ডপ্রদানকে সবসময় নিরুৎসাহিত করে। প্রায় দু’দশক পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন কঙ্গোর কোনো আদালত।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :