AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধর্ষণ মামলা নিতে দেরি করায় ওসি গ্রেফতার!


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬:১৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ধর্ষণ মামলা নিতে দেরি করায় ওসি গ্রেফতার!

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আলোচিত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে দেরি করায় স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার দেখিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। হাসপাতালটির দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এর আগেই তাকে গ্রেফতার করেছিল তদন্ত সংস্থাটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধর্ষণ ও খুনের মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে কারাগারে থাকা অধ্যক্ষকে। সন্দীপের পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা নিতে দেরি করা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আছে।

এর আগে ওই শিক্ষানিবশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রেফতারের পর থেকে ওই ব্যক্তি সিবিআইয়ের হেফাজতেই আছে। সব নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হল।

এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপের গ্রেফতারের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই নগরীর সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে টানা ধর্মঘট করতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।

ভারতের আইন প্রয়োগকারী ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার সন্দীপের পৈতৃক বাড়ি ও তার ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের দপ্তর ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুর্নীতি মামলায় আগে থেকেই গ্রেফতার সন্দীপ আদালতের নির্দেশ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে আছে। তার বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ আছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপকে কারা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

হাসপাতালটিতে শিক্ষানবীশি এক তরুণী নারী চিকিসৎকে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে খুনের মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সন্দ্বীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, এরপর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখায়।

ওই নারী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিল সন্দ্বীপ।

আরজি করের ওই ঘটনার ৩৫ দিন পার হওয়ার পর সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মেডিক্যাল কলেজটির শিক্ষার্থী ও ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছে, এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিচারের দিকে ‘এক পা’ এগিয়েছে বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু সন্দীপকে গ্রেফতার করতে ‘৩৫ দিন কেন লাগল’ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা।

 

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার

একুশে সংবাদ/ এস কে

 

 

 

 

 

 

 

Link copied!