ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আগেই বলেছিলেন, তাঁরা মঙ্গলবার লেবাননে একটি অভিযান চালাতে যাচ্ছেন। কিন্তু লেবাননে ঠিক কী অভিযান চালানোর পরিকল্পনা ইসরায়েল করছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত যুক্তরাষ্ট্রকে আগাম জানাননি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এমনকি মঙ্গলবার সকালে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে ফোনে কথাও হয়।
বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র সিএনএনকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র তিনটির ভাষ্য, ইসরায়েলি পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত না জানানোর অর্থ হলো মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযানটি সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজারে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নজিরবিহীন এই বিস্ফোরণের ঘটনায় হিজবুল্লাহর সদস্যসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার।
সিএনএন জানতে পেরেছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে ইসরায়েল। হামলার জেরে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও দেশটির সামরিক বাহিনী যৌথভাবে লেবাননে এ অভিযান চালিয়েছে। লেবানন সরকার এই হামলাকে অপরাধী ইসরায়েলের আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়া বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) লেবাননের বিভিন্ন স্থানে আবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গতকাল দেশটির বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র ওয়াকিটকি বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার যখন লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটে, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওয়াশিংটন থেকে মিসরের রাজধানী কায়রো যাচ্ছিলেন।
মার্কিন কূটনীতিকেরা উড়োজাহাজে বসে লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের ‘ব্রেকিং নিউজ’ পান। তাঁরা বিস্মিত হয়ে যান।
একুশে সংবাদ/প.আ./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :