বেশ চাপের মুখে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তার জোট সরকারের শরিক দলগুলিও ভোটারদের রোষের মুখে পড়ছে। দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট শক্তির ক্ষমতা বাড়ছে। প্রধান বিরোধী রক্ষণশীল শিবিরও সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছে। সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগেই তারা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস-কে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করে সরকারের উপর আক্রমণ আরও জোরদার করছে।
পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে ভরাডুবির পর শলৎসের এসপিডি দল আগামী রোববার বার্লিন-সংলগ্ন ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে আবার ভোটারদের সমর্থন চাইছে। ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর থেকেই সেই রাজ্যে এসপিডি-র নেতৃত্বে একটানা সরকার গঠিত হয়েছে।
জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এবার সেই ধারাবাহিকতায় ভাঙন আসতে পারে। উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল সমর্থনের বিচারে প্রায় এসপিডির সমান অথবা সামান্য এগিয়ে রয়েছে।
ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য এসপিডির হাতছাড়া হলে চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও নতুন করে আর চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবেন না, এমন ঘোষণা করা উচিত বলে এসপিডি দলের একাংশ মনে করছে। সে ক্ষেত্রে সংকটে জীর্ণ জোট সরকারও নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কি না, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে।
তবে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেতা বরিস পিস্টোরিউস সরকারের হাল ধরলে এসপিডি দলের বেহাল অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। একাধিক কারণে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা, বিশাল সংখ্যক বিদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের মতো বিষয় ভোটারদের মনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে।
ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত এসপিডি সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হিসেবে আগামী সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলে শলৎস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
একুশে সংবাদ/দ.ই./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :