আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন সেই নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তাদের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আর এর আগেই নতুন ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে পরাজিত হলে সামনে আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য শেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় রোববার তিনি বলেন, নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে ২০২৮ সালের ভোটে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করেন না তিনি। মূলত ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প এইবারসহ টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন এবং গত আট বছরে দলটিকে ব্যাপকভাবে নতুন আকার দিয়েছেন।
সিনক্লেয়ার মিডিয়া গ্রুপের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাস্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আসন্ন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের কাছে হেরে গেলে তিনি আরও একবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পূর্বাভাস দিতে পারেন কিনা। ট্রাম্প বলেন “না, আমি করব না। আমি মনে করি... এটাই (শেষবার) হবে। (পুনরায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো বিষয়) আমি একেবারেই দেখতে পাচ্ছি না। আশা করি, আমরা খুব সফল হতে যাচ্ছি।”
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনও প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। এবং এই কারণে আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে ২০২৮ সালে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে আশা করা যায় না।
অবশ্য অতীতে ট্রাম্প খুব কম সময়ই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা স্বীকার করেছেন। এর পরিবর্তে প্রায়শই নির্বাচনে জয়ের অঙ্গীকার করে বক্তৃতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তাদের মতে, এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী ও সক্ষমতার দিক থেকে ঘাটতি রয়েছে ট্রাম্পের। গত বুধবার কমালা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণা দপ্তর ওই চিঠিটি প্রকাশ করে। সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে এই ১১১ জন সাবেক আইনপ্রণেতার। স্বাক্ষরকারী এই ব্যক্তিরাও চিঠিটির বিষয়বস্তু এবং নিজেদের নাম স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের গত মেয়াদের শাসনকাল স্মরণ করে চিঠিতে সাবেক এই আইনপ্রণেতারা বলেন, “এর আগে যখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন, সে সময় প্রায় প্রতিদিন সরকারের মধ্যে কোনো না কোনো ইস্যুতে হট্টগোল বাঁধতো। এছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে (যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন) হামলার পেছনে তার উসকানি ছিল। এর মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্টের শপথ ভঙ্গ করেছেন।”
একুশে সংবাদ/আ.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :