ফিলিস্তিনি নারী ও মেয়েদের ওপর যৌন নিপীড়নের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায়। এসব যৌন নিপীড়নের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত দুটি ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বিশেষজ্ঞদের প্যানেলটি জানিয়েছে, অন্তত দুটি ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি যৌন অপমান ও ধর্ষণের হুমকির আরও ঘটনা রয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত রিম আলসালেম বলেন, যৌন সহিংসতার প্রকৃত মাত্রা অনেক বেশি হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আমরা বিশেষভাবে মর্মাহত হয়েছি যে ফিলিস্তিনি নারী ও মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পুরুষ কর্মকর্তারা তাদের নগ্ন করে তল্লাশি করেছেন। কমপক্ষে দুজন ফিলিস্তিনি নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অন্যদের ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের অবমাননাকর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে।
২০২১ সালে রিম আলসালেমকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)। তিনি বলেন, আমরা হয়তো অনেক দিন ধরে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সংখ্যা জানতে পারব না।
রিম আলসালেম বলেন, ভুক্তভোগীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ না জানানোর অন্যতম কারণ হলো পুনরায় প্রতিশোধের শিকার হওয়ার ভয়। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনি নারী ও মেয়েদের দফায় দফায় আটক করার সময় ইসরায়েলি কারাগারে যৌন নির্যাতনের প্রতি যেনতেন মনোভাব দেখা গেছে। এই যুদ্ধ চলাকালীন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি সহিংসতা ও মানবিক মর্যাদাহানি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, জো বাইডেন প্রশাসন এসব অভিযোগ সম্পর্কে অবগত। এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, আমি স্বাধীনভাবে এই রিপোর্টগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছি না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে বেসামরিক নাগরিক ও আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে মানবিক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে মিল রেখে আচরণ করতে হবে। আমরা জোরালোভাবে ইসরায়েলকে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত করার এবং কোনো নির্যাতন বা লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।
একুশে সংবাদ/চে.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :