ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে ও বিকট শব্দ শোনা যায়। ইরানি রেভোল্যুশনারি গার্ড দাবি করছে, তাদের নিক্ষেপ করা ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের আলোকে সিরিজ এই হামলায় ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ‘ব্যাপক’ বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে। ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্রও কিছু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
হামলা শুরুর প্রায় ৪৫ মিনিট পর ইসরায়েলজুড়ে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সামরিক বাহিনী ‘ইরানের কাছ থেকে কোনও অতিরিক্ত বিমান হুমকি চিহ্নিত করেনি।’
হাগারি বলেছেন, ইরানের কয়েকটি অস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অবতরণের সময় তাদের মূল্যায়ন চলমান ছিল। আইডিএফ ‘কোনও হতাহত চিহ্নিত করেনি।
আমেরিকান কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলের দাবি করছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে নিক্ষেপ করা প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে আইডিএফ।
একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন বিমান বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের ‘সহযোগিতায়’ প্রতিহত করা হয়েছিল। তবে ‘বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষতির মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সুলিভান বলেন, হোয়াইট হাউজ সিচুয়েশন রুম থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হামলা প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে কোনও মৃত্যুর কথা জানে না। তবে তারা পশ্চিম তীরের জেরিকোতে এক ফিলিস্তিনি বেসামরিকের মৃত্যুর একটি প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছে।
একুশে সংবাদ/বাং/টি/এন
আপনার মতামত লিখুন :